দুর্ভোগে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা সদরে যাতায়াতে প্রধান সড়কটির নাম সাতকানিয়া সরকারি কলেজ সড়ক। চলতি মৌসুমের বৃষ্টিতে এরইমধ্যে সড়কটি বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সকল শ্রেণি-পেশার লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চার কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়লেও কর্তৃপক্ষ নীরব।

উপজেলার রাস্তার মাথা থেকে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের স্থানে স্থানে কয়েক শত ফুট এলাকাজুড়ে বিশাল আকারে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্ত যেন কাদাপানিতে ডোবায় পরিণত হয়েছে! এতে ঝুঁকি নিয়ে ধীর গতিতে চলছে যানবাহন। সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হতে রাস্তার মাথায় কলেজ রোডে প্রবেশের মুখে পাকা সড়কের অংশে ৩০ ফুট আরসিসি ঢালাই হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। ঢালায়ের দু’পাশেই সৃষ্টি হওয়া গর্তে ভাঙা ইট ফেলায় কাদাপানিতে একাকার হয়ে পড়েছে। ভাঙা সড়কে ভাঙা ইট যেন আরো দুর্ভোগ বাড়িয়েছে চলাচলকারীদের। আধা কিলোমিটার সামনে গেলেই হাঙ্গরমুখ এলাকায় প্রবেশ করতেই ছোট একটি কালভার্ট। কালভার্টের দু’পাশেই গর্ত। ঢেমশা চৌমুহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে ১০০ মিটার সড়কজুড়ে খানাখন্দে ভরা। নাপিতের চর বাজারের পশ্চিমে সড়কে যেন একাধিক ছোট ছোট পুকুর খনন করা হয়েছে— দূর থেকে এমনই মনে হয়। এসব কাদা-পানির কারণে পথচারীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সাতকানিয়া দলিল লেখক জহির উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করি। রাস্তার মাথা থেকে সাতকানিয়া সরকারি কলেজ পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়কের একাধিক স্থানে গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় যাতায়াতে কষ্টের শেষ নেই। এছাড়া সড়কের অধিকাংশ স্থানে কার্পেটিং ও ইটের খোয়া উঠে গিয়ে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।

সাতকানিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, সড়কটির একাধিক স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে সাইকেল চালিয়ে কলেজে আসা-যাওয়া করছি। সড়ক ভাঙা হওয়ার কারণে শরীর ব্যথা হয়ে যায়। সড়কটির বেহাল দশা যেন আমার মতো হাজারও শিক্ষার্থীর যাতায়াতে দুর্ভোগ বাড়িয়ে তুলছে।

এ ব্যাপারে সাতকানিয়া উপজেলা প্রকৌশলী নাশিদ হাসান সিরাজী বলেন, সড়কটির কয়েকটি স্থানে ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি মেরামতের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছি। বরাদ্দ পেলে টেন্ডারের মাধ্যমে দ্রুত কাজ করা হবে।